ads

Breaking News

হ্যাটট্রিকের সামনে দাঁড়িয়েও মেসির পেনাল্টি না নেওয়ার কারণ
মাইক্রোসফট কি টিকটককে কিনে নিচ্ছে?
Ugh PBR&B kale chips Echo Park.
মাইক্রোসফট কি টিকটককে কিনে নিচ্ছে?.
Authentic bitters seitan pug single-origin coffee whatever.
মাইক্রোসফট কি টিকটককে কিনে নিচ্ছে?
Vice mlkshk crucifix beard chillwave meditation hoodie asymmetrical Helvetica.
Ugh PBR&B kale chips Echo Park.
Gluten-free mumblecore chambray mixtape food truck.
Authentic bitters seitan pug single-origin coffee whatever.

বার্সার বিশ্বসেরা হয়ে ওঠার ইতিহাস।


১৮৯৯ সালের ২২ অক্টোবর। বার্সেলোনার স্থানীয় ক্রীড়া পত্রিকা “লস ডেপোরটেস” এ ফুটবল ক্লাব গঠনের জন্য একটি বিজ্ঞাপন দেয়া হয়।
১৮৯৯ সালের ২২ অক্টোবর। বার্সেলোনার স্থানীয় ক্রীড়া পত্রিকা “লস ডেপোরটেস” এ ফুটবল ক্লাব গঠনের জন্য একটি বিজ্ঞাপন দেয়া হয়। বিজ্ঞাপনটি দেন ক্রীড়াপ্রমী সুইস অ্যাথলেটিক এবং ব্যবসায়ী জোয়ান গাম্পার। ক্লাব গঠনের উদ্দেশ্যে তার প্রচারিত বিজ্ঞাপনে যথেষ্ট ইতিবাচক সাড়া মেলেছিল। এর ফলশ্রুতিতে ১৮৯৯ সালের ২৯ নভেম্বর জন্ম হয় ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনার। ১৮৯৯ সালের ৮ ডিসেম্বর। ক্লাবটি প্রতিষ্ঠার ৯ দিন পর প্রথম ফ্রেন্ডলি ফুটবল ম্যাচ খেলে ইংলিশ কলোনির বিপক্ষে। বার্সেলোনা শহরের বর্তমান টুর পার্কে অনুষ্ঠিত এ খেলায় মাঠের অবস্থা ছিল শোচনীয়। পাথর কণায় ভরা এবড়ো-থেবড়ো মাঠ। পাশে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ। উপরন্তু খেলোয়াড়দের গায়ে কোনো জার্সি ছিল না। কারণ, ২৯ নভেম্বর ক্লাব প্রতিষ্ঠাকালীন মিটিংয়ে বার্সার জার্সি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি তখনো। সর্বশেষ সমস্যাটি ছিল খেলোয়াড় সংকট। আর এ কারণে এই ম্যাচে ১১ জনের বদলে দু’পক্ষে ১০ জন করে খেলতে নেমেছিল। ওই ফ্রেন্ডলি ম্যাচে বার্সা ইংলিশদের বিপক্ষে ০-১ গোলে হার মানে। ক্লাবটির সুদীর্ঘ ১১৫ বছরের ইতিহাসে মোট ৪১ জন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন ওয়াল্টার উইল্ড। একজন সুইস নাগরিক। ১১ জন প্রতিষ্ঠাতা সদস্যের মধ্যে তিনিই ছিলেন বয়োজ্যেষ্ঠ। আর প্রতিষ্ঠাতা জোয়ান গাম্পার ছিলেন বার্সা দলের প্রথম অধিনায়ক।  প্রথম দিকে বার্সা ক্লাব লোগো হিসেবে বার্সেলোনা মিউনিসিপ্যাল সিটির নিজস্ব লোগোটি ব্যবহার করছিল। খেলায়াড়গণ এটি নিজেদের শার্টে পরিধান করতেন। প্রথম লোগোটি চারভাগে বিভক্ত হীরক আকৃতির। উপরে একটি মুকুট তার উপরে একটি বাদুরের প্রতিকৃতি। লোগোর পাশ ছিল দু’টি গাছের শাখা দিয়ে ঘেরা। পরে ১৯১০ সালে ক্লাব লোগোর পরিবর্তনের উদ্যোগ নেয়া হয়। লোগোর ডিজাইনের উপর ক্লাব সদস্যদের মধ্যে একটি প্রতিযোগিতা হয়েছিল। তাতে বিজয়ী হন ক্লাবেরই খেলোয়াড় কার্লোস কোমামালা। তার প্রস্তাবনায় লোগোর উপরের অংশে বাঁ-দিকে বসানো হয় সেন্ট জর্জের ক্রুশ আর ডানে কাতালোনিয়ার পতাকা। নিচের অংশে দলীয় রং। ১৯১০ সালের পর লোগোর বিশেষ পরিবর্তন আনা হয়নি। তবে একনায়ক ফ্রাংকোর আমলে লোগোর উপর লেখা FCB পরিবর্তন করে CFB বসানো হয়। পরে ১৯৭৪ সালে ফ্রাংকো শাসনের অবসান ঘটলে, আবার ১৯১০ সালে করা ডিজাইন ফিরিয়ে আনা হয়। ডিজাইনের সর্বশেষ সংশোধনী করেন ক্লারেত সিরাহিমার ২০০২ সালে। ক্লাবটির প্রথম জার্সি ছিল গাড় নীল ও লাল দুই রঙে ডিজাইন করা। আর প্যান্ট ছিল সাদা রঙের। ১৯০০ সালে ইসপানিয়ার বিপক্ষে প্রথম এই জার্সি পরে বার্সা খেলতে নামে। জার্সি রঙের ডিজাইনার নিয়ে মতভেদ আছে। লেখক টনি স্ট্রাবেলের মতে, এ রঙগুলো প্রথম ফরাসি প্রজাতন্ত্র থেকে নেয়া। তবে কাতালানদের ধারণা, রঙগুলো প্রতিষ্ঠাতা জোয়ান গাম্পারের নিজের পছন্দ করা। যা তার দেশ সুইজারল্যান্ডের দল এফসি বাসেলের।বার্সার প্রথম শিরোপা ‘কোপা মাকায়া’ আসে ১৯০২ সালে। একই বছরে ‘কোপা দেল রে’ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে এবং ফাইনালে ভিজকায়ার (বর্তমান অ্যাথলেতিক বিলবাও) সঙ্গে পরাজিত হয়। এ সময়টার পর ক্লাবের অর্থনৈতিক সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করে। অর্থের অভাবে ১৯০৫ সালের পর থেকে আর কোনো শিরোপা জিততে পারছিল না বার্সা। বার্সার ওই কঠিন সময়ে ১৯০৮ সালে প্রতিষ্ঠাতা জোয়ান গাম্পার দলের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন। তিনি মোট ২৫ বছর ক্লাবের পরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন। ক্লাবের অর্থনৈতিক সঙ্কট কাটাতে তার উদ্যোগে বার্সেলোনা প্রথম নিজস্ব স্টেডিয়াম ‘কাম্পো দে লা ইন্দোস্ত্রিয়া’ প্রতিষ্ঠিত করে। ১৯০৯ সালের ১৪ মার্চ থেকে অনুষ্ঠানিকভাবে বার্সা নিজেদের স্টেডিয়ামে চলে আসে। এতে বার্সা আয়ের একটি স্থায়ী উৎস পেয়ে যায়। স্টেডিয়ামের ধারণ ক্ষমতা ছিল ৮ হাজার। ১৯২২ সালে বার্সা ‘কাম্পো দে লেস কোর্রস’ স্টেডিয়ামে আসে। যার ধারণ ক্ষমতা ছিল ২২ হাজার। পরে এর ধারণ ক্ষমতা ৬০ হাজার পর্যন্ত উন্নীত করা হয়। এরপর লেস কোর্রস স্টেডিয়ামটির সম্প্রসারণ আর সম্ভব ছিল না। ১৯৪৮ ও ১৯৪৯ সালে টানা দুইবার ‘লা লিগা’ শিরোপা জেতার পর বার্সেলোনার স্টেডিয়ামে দর্শক সংখ্যা আরো বাড়িয়ে তোলে। দর্শকের তুলনায় ৬০ হাজার আসন ছিল অপর্যাপ্ত। ফলে বার্সেলোনা আরো বেশি ধারণ ক্ষমতাসহ নতুন স্টেডিয়াম নির্মাণের পরিকল্পনা করে। ১৯৫৪ সালের ২৮ মার্চ বর্তমান ‘কাম্প ন্যূ’ নির্মাণকাজে হাত দেয়। প্রায় ৬০ হাজার বার্সার সমর্থকের উপস্থিতিতে স্টেডিয়ামটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন বার্সেলোনার গভর্নর ফেলিপ আচেদো। নির্মাণ ব্যয় ছিল ২৮৮ মিলিয়ন পেসেতা (তৎকালীন স্প্যানিশ মুদ্রা)। পরবর্তীতে উয়েফা নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখার জন্য ১৯৮০ সালে পুনরায় স্টেডিয়ামটির ডিজাইন পাল্টানো হয়। এ সময় নির্মাণকাজে ব্যবহৃত প্রত্যেকটি ইটে কিছু অর্থের বিনিময়ে সমর্থকদের নাম অন্তর্ভূক্ত করার সুযোগ দিয়ে অর্থ সংগ্রহ করা হয়। পরিকল্পনাটি দারুণ জনপ্রিয়তা অর্জন করে। অসংখ্য সমর্থক এ সুযোগ নিয়ে বার্সাকে আর্থিক সমর্থন দেয়। এ ঘটনায় মাদ্রিদের সংবাদ মাধ্যম প্রচার করে যে স্টেডিয়ামের একটি ইটে রিয়াল মাদ্রিদের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ও ফ্রাংকোর সমর্থক সান্তিয়াগো বের্নাব্যুর নাম লেখা হয়েছে। পরে এ সংবাদটি বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। প্রথম থেকেই কাতালানদের স্বাধীনতা দাবির আইকন হয়ে ওঠা এই ক্লাবের ইতিহাসের সঙ্গে স্পেনের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের ইতিহাস অাষ্টেপৃষ্ঠে বাধা। স্পেনে প্রিমো দে রিভেরার একনায়কতন্ত্র চলে ১৯২৩ থেকে ১৯৩০ সাল পর্যন্ত। ১৯২৫ সালের ১৪ জুন, এ সময় স্টেডিয়াম ‘কাম্পো দে লেস কোর্রস’ এর দর্শক স্পেনের জাতীয় সংগীতের ব্যঙ্গ করে। একই সঙ্গে ‘গড সেভ দা কিং’ সংগীতের প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রিমে দে রিভেরার একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ জানায়। এ ঘটনায় স্টেডিয়ামটি ছয় মাসের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়। এছাড়া জোয়ান গাম্পারের উপর চাপ প্রয়োগ করা হয় যেন তিনি ক্লাবের পরিচালকের পদ থেকে সরে দাঁড়ান। এতে ক্লাবটি নিয়ে সমস্যার জটির আবর্তে পড়েন পরিচালক। ক্লাবের আর্থিক সমস্যা আবার প্রকট হতে থাকে। এ সমস্যাগুলো আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি জোয়ান গাম্পার। ব্যক্তিগত ও আর্থিক সমস্যার কারণে চরম বিষন্নতায় আবর্তিত হতে হতে ৫২ বছর বয়সে ১৯৩০ সালের ৩০ জুলাই আত্মহত্যা করেন ক্লাবটির প্রতিষ্ঠাতা। তবে তার মৃত্যুর কারণ নিয়ে বিতর্ক আছে। মানসিক বিপর্যয়ের কারণে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মারা যান বলে অনেকে মনে করেন। প্রসঙ্গত, জোয়ান গাম্পারের সময়ে বার্সেলোনা ১১টি কাতালান কাপ, ৬টি কোপা দেল রেই ও ৪টি পাইরেনিস কাপ শিরোপা জেতে। এরপর ক্রমান্বয়ে স্পেনের তখনকার রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রভাব খেলার ওপর পড়তে থাকে। তারপরও ১৯৩০ থেকে ১৯৩৮ সাল এ আট বছরে ছয়বার কাতালান কাপ জেতে বার্সা। ১৯৩৬ সালে স্পেনে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। যুদ্ধের কয়েক মাস পরে দখলদারদের অধীনে চলে আসে কাতালোনিয়া। যুদ্ধ শেষে কাতালান পতাকার ওপর নিষেধাজ্ঞা আসে। ক্লাবগুলোতে স্পেনীয় নামের বাইরে অন্য নাম ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়। ফলে ‘ফুটবল ক্লুব (ক্লাবের কাতালান উচ্ছারণ) বার্সেলোনার নাম পরিবর্তন করে স্প্যানিশ নাম রাখা হয় ‘ক্লাব দে ফুটবল বার্সেলোনা’। তাদের কাতালাম পতাকাও সরিয়ে ফেলতে বাধ্য করা হয়। ঘটনা শুধু এখানেই থেকে থাকেনি। ১৯৪৩ সালে অনুষ্ঠিত কোপা দেল রে-এর সেমিফাইনালে বার্সেলোনা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের মুখোমুখি হয়। প্রথম লেগের খেলায় লেস কোর্তস স্টেডিয়ামে বার্সেলোনা ৩-০ গোলের ব্যবধানে জয়লাভ করে। পরে দ্বিতীয় লেগের খেলা মাদ্রিদে শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পূর্বে স্পেনের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা প্রধান বার্সার ড্রেসিং রুমে প্রবেশ করে উদ্ধত আচরণ করে। তিনি বার্সার খেলোয়াড়দের মনে করিয়ে দেন যে, শুধুমাত্র শাসকদের উদারতার কারণেই বার্সা খেলার সুযোগ পাচ্ছে। এতে বার্সার মনোবল একেবারে ভেঙ্গে যায়। প্রথম লেগে রিয়াল মাদ্রিদের বিরুদ্ধে ৩-০ গোলে জিতেও এই দ্বিতীয় লেগে ১১-১ গোলের ব্যবধানে তারা হার মানে। এমন রাজনৈতিক দুরবস্থা সত্ত্বেও চল্লিশ ও পঞ্চাশের দশকে বার্সা তাদের সফলতার ধারাবাহিকতা ধরে রাখে। ১৯৪৫ সালে আবার বার্সেলোনা আবার লা লিগা জেতে (১৯২৯ সালের পর)। এছাড়া ১৯৪৮ ও ১৯৪৯ সালেও টানা লা লিগা শিরোপা জেতে। একই বছরে কোপা লাতিনা শিরোপা পায় বার্সা। ১৯৬১ সালে ইউরোপীয়ান কাপে (বর্তমান চ্যাম্পিয়ন্স লীগ) প্রথম দল হিসেবে রিয়াল মাদ্রিদকে হারানোর কৃতিত্ব দেখা বার্সা। কিন্তু ফাইনালে বেনফিকার কাছে ৩-২ গোলে হেরে যায়। ষাটের দশকে বার্সেলোনা খুব বেশি সফলতা পায়নি। এ সময় লা লিগায় একচেটিয়া রাজত্ব ছিল রিয়াল মাদ্রিদের। পরে ১৯৬৮ সালে সান্তিয়াগো বার্ণাব্যুতে রিয়াল মাদ্রিদকে কোপা জেনেরালিসিমোর ফাইনালে ০-১ গোলে ব্যবধানে পরাজিত করে বার্সা তাদের হারানো ঐতিহ্য ফিরে পায়। ১৯৭৮ সালে ফ্রাংকোর একনায়কতন্ত্রের অবসান ঘটলে পুনরায় ক্লাবের নাম পাল্টিয়ে আগের নাম ‘ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনা’ রাখা হয়। সঙ্গে ক্লাবের প্রতীকটি আবার পূর্বের মতো করা হয়। অর্থাৎ CFB পরিবর্তন করে FCB করা হয়। এরপর কিংবদন্তি ডাচ ফুটবলার ইয়াহান ক্রুইফ ১৯৭৩-১৯৭৪ সেশনে বার্সায় যোগ দেন। তাকে ডাচ ক্লাব এফসি আয়াক্স থেকে ৯ লক্ষ ২০ হাজার ইউরোর বিনিময়ে নিজের ক্লাবের করে নেন বার্সেলোনা। ১৯৭৩ সালে ইয়াহান ক্রুইফকে ইউরোপীয় বর্ষসেরা খেলোয়াড় পুরস্কৃত হন। তৎকালীন সময়ে তিনিই  তিনটি ‘বালোন দে অরো’ (গোল্ডেন বল) জেতা একমাত্র খেলোয়াড় ছিলেন। ১৯৭৮ সালে ক্লাবের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ইয়োসেপ লুইস নুনিয়েজ। তার লক্ষ্য ছিল বার্সা ক্লাবকে বিশ্বমানের ক্লাবে পরিণত করা। ১৯৭৯ সালের ২০ অক্টোবর ইয়োহান ক্রুইফের অনুরোধে বার্সেলোনার যুব একাডেমি ‘লা মাসিয়া’ চালু করেন নুনিয়েজ। ১৯৮২ সালের জুন মাসে কিংবদন্তি ফুটবলার দিয়েগো ম্যারাডোনাকে বোকা জুনিয়র্স থেকে রেকর্ড সংখ্যক পাঁচ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে কিনে নেয় বার্সেলোনা। ইয়োহান ক্রুইফ ১৯৮৮ সালে আবার বার্সায় ফিরে আসেন তবে খেলোয়াড় হিসেবে নয় ম্যানেজার হিসেবে। তিনি পেপ গার্দিওলা, খোসে মারি বাকেরো, জিকি বেগিরিস্তেইনের মতো স্পেনীয় খেলোয়াড় আর রোনাল্ডো কোয়ম্যান, মাইকেল লওড্রাপ এবং রোমারিওর মতো আন্তর্জাতিক তারকাদের একত্রিত করেন। তার অধীনে ১৯৯১ থেক ১৯৯৪ পর্যন্ত টানা চার মৌসুমে বার্সেলোনা লা লিগা শিরোপা জিতে। পেপ গার্দিওলা দায়িত্ব গ্রহণের আগ পর্যন্ত মোট ১১ শিরোপা জিতিয়ে নিয়ে ইয়োহান ক্রুইফই বার্সেলোনার সবচেয়ে সফল ম্যানেজার ছিলেন।২০০৮ সালের জুনে বার্সেলোনার বি দলের ম্যানেজার পেপ গোর্দিওলা বার্সার মূল দলের ম্যানেজার ফ্রাংক রাইকার্ডের স্থলাভিষিক্ত হন। তিনি দলকে টিকি-টাকা কৌশলে খেলানো শুরু করেন। রোনালদিনহো, ডেকোদের বাদ দিয়ে মেসি, জাভি, ইনিয়েস্তাদের নিয়ে দল গঠনে নেমে পড়েন। ফল আসে চমকপ্রদ। একই মৌসুমে ২০০৯ সালে কোপা দেল রে, লা লিগা ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এই তিন শিরোপা জিতে কোনো স্পেনীয় ক্লাবের প্রথম ট্রেবল জয়ের রেকর্ড সৃষ্টি করেন পেপ। এখানেই শেষ নয়। এই একই বছরে স্পেনীয় সুপার কোপা, উয়েফা সুপার কাপ, ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ শিরোপা জিতে এক পঞ্জিকাবর্ষে সম্ভাব্য ছয়টি শিরোপার সব ক’টি জেতার রেকর্ড করে নেয়। কাতালিয়ান ক্লাবটির নির্দিষ্ট কোনো মালিকানা নেই। ক্লাবটি কোনো লিমিটেড কোম্পানির মতো নয় বলে ক্লাবের শেয়ার ক্রয় করা সম্ভব না। তবে সদস্যপদ পাওয়া সম্ভব। ক্লাব সদস্যদের বলা হয় ‘সোসিয়’। বর্তমানে ক্লাবের নিবন্ধিত সদস্য সংখ্যা এক লক্ষ ৭৩ হাজার ৭১ জন। সমর্থকরাই এর পরিচালক এবং তারাই মালিকানা বহন করে। উপার্জনের দিক থেকে এটি বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ ধনী ক্লাব। বার্ষিক উপার্জন ৬১৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। সবচেয়ে মূল্যবান ক্লাব হিসেবে এটি বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ ক্লাব, যার সম্পত্তির পরিমাণ ২.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বিশ্বের পেশাদার দলগুলোর মধ্যে খেলোয়াড়দের সবচেয়ে বেশি গড় পারিশ্রমিক দিয়ে থাকে বার্সেলোনা। ২০০৯ সালে IFFHS (International Federation of Football History & Statistics) কর্তৃক প্রকাশিত সর্বকালের সেরা বিশ্ব ক্লাব র্যাঙ্কিং-এ বার্সেলোনা শীর্ষস্থান অর্জন করে। বর্তমানে উয়েফা ক্লাব র্যাংকিং-এর শীর্ষস্থানে রয়েছে এ ক্লাবটি। বিশ্বের অন্যতম সর্বোচ্চ সমর্থিত ফুটবল দল বার্সা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের শীর্ষে অবস্থান করছে। ফেসবুকে ৪.৬ কোটি, টুইটারে ১ কোটি এবং গুগল প্লাসে ৬৫ লক্ষেরও বেশি সমর্থক ও ফলোয়ার আছে। ফুটবল ইতিহাসের কিংবদন্তি হয়ে ওঠা এই ক্লাবের নেতৃত্ব এখন স্প্যানিশ ম্যানেজার লুইস এনরিকের হাতে। বর্তমানে ৯০ পয়েন্ট নিয়ে লা লিগার শীর্ষে অবস্থান করছে বার্সা। আর এক ম্যাচ জিতলেই চ্যাম্পিয়ন। একই সময়ে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে বায়ের্ন মিউনিখকে হারিয়ে ফাইনালে অবস্থান করছে বার্সেলোনা। ফুটবল বিশ্বে দ্যুতি ছড়ানো এ ক্লাবটি ৬ জুনের ফাইনালে জুভেন্টাসকে হারিয়ে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন হবার প্রত্যাশা করতেই পারে তার কোটি সমর্থক। তাহলে ফুটবল বিশ্বও আবার নতুন করে খুঁজে পাবে বিশ্বসেরা ফুটবল ক্লাব এফ সি বার্সেলোনাকে।  


এমআর/বিএ/পিআর

কোন মন্তব্য নেই