ads

Breaking News

হ্যাটট্রিকের সামনে দাঁড়িয়েও মেসির পেনাল্টি না নেওয়ার কারণ
মাইক্রোসফট কি টিকটককে কিনে নিচ্ছে?
Ugh PBR&B kale chips Echo Park.
মাইক্রোসফট কি টিকটককে কিনে নিচ্ছে?.
Authentic bitters seitan pug single-origin coffee whatever.
মাইক্রোসফট কি টিকটককে কিনে নিচ্ছে?
Vice mlkshk crucifix beard chillwave meditation hoodie asymmetrical Helvetica.
Ugh PBR&B kale chips Echo Park.
Gluten-free mumblecore chambray mixtape food truck.
Authentic bitters seitan pug single-origin coffee whatever.

রিয়াল মাদ্রিদ-বায়ার্ন মিউনিখের সর্বশেষ তিন লড়াই

আগামী বুধবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে নিজেদের মাঠে রিয়াল মাদ্রিদের মুখোমুখি হবে বায়ার্ন মিউনিখ।  এই নিয়ে ২৫তম বারের মত ইউরোপিয়ান কোনো প্রতিযোগিতায় এবং সপ্তমবারের মতো সেমিফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে বায়ার্ন ও রিয়াল।

দুই দলের সর্বশেষ তিন লড়াইয়ের দিকে এবার ফিরে তাকানো যাক:

২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল:

দুই লেগ মিলিয়ে ৬-৩ গোলের ব্যবধানে জিতে সেমিতে উঠে রিয়াল। প্রথম লেগে রিয়াল ২-১ গোলে হারায় বায়ার্নকে। ৪৭ ও ৭৭ মিনিটে রিয়ালের হয়ে দুই টি গোল করেন দলের সেরা তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। তবে ম্যাচে প্রথম লিড নিয়েছিল বায়ার্ন। ২৫ মিনিটে ভিদাল দলকে এগিয়ে দেন। কিন্তু পরবর্তীতে রোনালদোর ঝলকে ম্যাচটি জিতে নেয় রিয়াল।

দ্বিতীয় লেগের ম্যাচটি ৪-২ গোলে জিতে সেমির টিকিট নিশ্চিত করে রিয়াল। তীব্র প্রতিদ্বন্দিতাপুর্ন ম্যাচে নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষে ফলাফলের জন্য অতিরিক্ত সময়ে লড়াই করতে হয়েছিল রিয়াল ও বায়ার্নকে। রিয়ালের মাঠে ম্যাচের ৫৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করেন বায়ার্নের লিওয়ানদোস্কি।

ফলে দুই লেগ মিলিয়ে শেষ আটে ২-২ সমতা আসে। ৭৬ মিনিটে গোল করে ম্যাচে সমতা আনলেও দুই লেগ মিলিয়ে রিয়ালকে এগিয়ে দেন রোনালদো।

২ মিনিট বাদে এবার গোলের আনন্দে নেচে ওঠে বায়ার্ন। রিয়ালের রামোসের আত্মঘাতি গোলে ম্যাচে লিড ও দুই লেগ মিলিয়ে সমতা আনতে পারে বায়ার্ন। ওই সময় ম্যাচে ২-১ গোলে এগিয়ে ছিল বায়ার্ন এবং দুই লেগ মিলিয়ে ম্যাচে ৩-৩ সমতা ছিল। ফলে ম্যাচটি গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।

আর সেখানেই বাজিমাত করে রিয়াল। ১০৫ ও ১১০ মিনিটে দুই টি গোল করে রিয়ালকে জয়ের স্বপ্ন দেখান রোনালদো। এরপর ১১২ মিনিটে আসেনসিও রিয়ালের হয়ে সর্বশেষ গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করেন।  

২০১৪ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল:

দুই লেগ মিলিয়ে ৫-০ গোলের জয়ে ফাইনালে ওঠে রিয়াল। প্রথম লেগে নিজেদের মাঠে করিম বেনজামার একমাত্র গোলে জয় পায় রিয়াল। প্রথম লেগ হারলেও ফাইনালে উঠার ভালো একটি সুযোগ ছিল বায়ার্নের। কারণ, পরের লেগটি ছিল তাদেরই মাঠে। কিন্তু সেখানেও ব্যর্থ হয় তারা।

প্রথম লেগে কর্ষ্টাজিত হলেও, দ্বিতীয় লেগের ম্যাচ হেসেখেলেই জিতে নেয় রিয়াল। রামোস ও রোনালদোর ২টি করে গোলে দ্বিতীয় লেগ ৪-০ গোলে জিতে সেমিতে ওঠে গ্যালাকটিকোরা। ৩৪ মিনিটের ব্যবধানে ৩ গোল করে ফাইনালে খেলার পথ পরিস্কার করে ফেলে রিয়াল।  

২০১২ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল:

পেনাল্টি শ্যুটআউটে রিয়ালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে বায়ার্ন। দুই লেগ মিলিয়ে ম্যাচের স্কোর ছিল ৩-৩। নিজেদের মাঠে প্রথম লেগে ২-১ গোলে জয় পেয়েছিল বায়ার্ন। নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে গোমেজের গোলে জয়ের স্বাদ নেয় স্বাগতিকরা। ১৭ মিনিটে রিবেরির গোলে ম্যাচে প্রথম লিড নিয়েছিল বার্য়ান। সেই লিড অনেক সময় পর্যন্ত ধরেও রেখেছিল তারা। তবে ম্যাচের ৫৩ মিনিটে গোলটি পরিশোধ করে রিয়ালকে সমতায় নিয়ে আসেন মেসুত ওজিল।

ম্যাচ যখন সমতায় শেষ হবার পথে, ঠিক সেই মুহূর্তে অর্থাৎ ৯০ মিনিটে গোল করে দলকে জয়ের স্বাদ দেন গোমেজ। ২-১ গোলে এগিয়ে রিয়ালের মাঠে দ্বিতীয় লেগ খেলতে যায় বার্য়ান। নিজেদের মাঠে ম্যাচের শুরু থেকেই বায়ার্নকে চেপে ধরে রিয়াল। রোনালদোর জোড়া গোলে ম্যাচের ১৪ মিনিটের ব্যবধানে ২-০ গোলে লিড নেয় গ্যালাকটিকোরা।  

২৭ মিনিটে পেনাল্টি থেকে একটি গোল পরিশোধ করতে পারে বার্য়ান। গোলটি করেন রোবেন। শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় লেগে ২-১ ব্যবধানে জয় পায় রিয়াল। ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ম্যাচের স্কোরলাইন দাড়ায় ৩-৩। এরপর অতিরিক্ত সময়েও স্কোরলাইনে কোন পরিবর্তন আনতে পারেনি রিয়াল ও বার্য়ান। এরপর পেনাল্টি শুটে ৩-১ গোলে জয় তুলে নিয়ে ফাইনালের টিকিট পায় বায়ার্ন।

কোন মন্তব্য নেই