ধর্মঘটে যেতে রাজি বার্সেলোনার কুন্দে
দিন যত যাচ্ছে, ততই ম্যাচসংখ্যা বাড়ছে। আগের তুলনায় ইউরোপিয়ান ফুটবলারদের এখন অধিক ম্যাচ খেলতে হচ্ছে। ব্যাপারটি নিয়ে বিগত কয়েক মৌসুম ধরেই সোচ্চার ফুটবলাররা। ম্যানচেস্টার সিটির রদ্রি কদিন আগে ধর্মঘটে যাওয়ার কথা বলেছিলেন।

বার্সার হয়ে আজ মোনাকোর বিপক্ষে খেলতে নামবেন কুন্দে। ছবি: রয়টার্স
নতুন ফরম্যাটের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপপর্বে প্রতিটি দলকে ২টি করে বেশি ম্যাচ খেলতে হচ্ছে। কারো কারো জন্য আছে প্লে-অফ ঝক্কিও। জয় পেলেই ম্যাচসংখ্যা বাড়ছে। ঘরোয়া লিগসহ অন্য প্রতিযোগিতা তো আছেই, খেলতে হয় জাতীয় দলের হয়েও। এত বেশি ম্যাচ খেলতে খেলতে ক্লান্ত ফুটবলাররা। এর বিহিত চান অনেকেই। ধীরে ধীরে আওয়াজও উঠছে; শুরুতে বড়সড় পরিসরে প্রতিবাদ করেছিলেন রদ্রি।
ম্যানচেস্টার সিটির এই মিডফিল্ডার বলেছিলেন, ‘আমি মনে করি আমরা (ধর্মঘটে যাওয়ার) কাছাকাছি আছি। এটা বোঝা সহজ, যেকোনো খেলোয়াড়কে জিজ্ঞেস করুন, সবাই একই কথা বলবে। আর যদি এভাবেই চলতে থাকে, একটা সময় এমন মুহূর্ত আসবে যখন আমাদের আর কোনো বিকল্প থাকবে না। তবে দেখা যাক, কী হয়।’
রদ্রির কথার সঙ্গে সুর মেলালেন বার্সেলোনার জুলস কুন্দে। কাতালান জায়ান্টরা গত রোববার খেলেছে জিরোনার বিপক্ষে, আগামী রোববার আবার ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে মাঠে নামতে হবে তাদের। মাঝে আজ বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তাদের প্রতিপক্ষ মোনাকো। এ ম্যাচের আগে ধর্মঘটে যাওয়ার কথা বলেন কুন্দে।
রদ্রির সঙ্গে সহমত জানিয়ে ফরাসি ফুটবলার বলেন, ‘রদ্রি যা বলেছে, আমি তার সঙ্গে একমত। এটা আমরা অনেক দিন যাবত বলছি, কেউ মনযোগ দিচ্ছে না। না প্লেয়াররা শুনছে, না কোচেরা। এমন একটা সময় আসবে যখন আমাদের ধর্মঘট করতে হবে। কারণ তখন এটাই হবে একমাত্র পথ।’
বেশি বেশি ম্যাচ থাকার কারণে ফুটবলারদের মাঠেই বেশি সময় দিতে হচ্ছে। কমছে ছুটি ও বিনোদনের সময়। ফলে বাড়ছে ইনজুরি। কুন্দে বলেন, ‘আমরা বেশি বেশি রিস্ক নিচ্ছি। ছুটি কম বলে ইনজুরি হচ্ছে বেশি। ক্লাব বিশ্বকাপসহ আমাদের এখন প্রতি মৌসুমে ৭০টি করে ম্যাচ খেলতে হবে। এটা পাগলাটে ব্যাপার।’
Post Comment
কোন মন্তব্য নেই