খেলোয়াড় সংকটে জাতীয় দলের অনুশীলন বাতিল

জাতীয় দলের অনুশীলনে পর্যাপ্ত খেলোয়াড় পাননি কোচ

শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠেয় প্রাইম মিনিস্টার মাহিন্দা রাজাপক্ষে চার জাতি টুর্নামেন্টের জন্য ২৪ খেলোয়াড় ডেকেছেন মারিও লেমোস। পল্টনের একটি আবাসিক হোটেলে কাল শুরু হয়েছে জাতীয় দলের ক্যাম্প।

কিন্তু আজ দুপুর পর্যন্ত ক্যাম্পে যোগ দিয়েছেন মাত্র ৫ জন ফুটবলার। খেলোয়াড়সংকটে আজ বিকেলের অনুশীলন বাতিল করেছে কোচ লেমোস। ক্যাম্পে যোগ দেওয়া গুটিকয়েক কয়েক ফুটবলারকে বিকেলে জিম করানো হবে বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত ম্যানেজার ইমতিয়াজ সবুজ।

এখন পর্যন্ত ক্যাম্পে যোগ দেওয়া খেলোয়াড়েরা হলেন সোহেল রানা, রাকিব হোসেন, রেজাউল করিম, শহীদুল আলম ও মেহেদী হাসান। তাঁদের মধ্যে সোহেল রানা অসুস্থ থাকায় ছুটি নিয়ে ক্যাম্প ছেড়েছেন। ম্যানেজার ইমতিয়াজ সবুজ বলেন, ‘ক্যাম্পে অল্প কয়েকজন খেলোয়াড় এসেছেন। তাই অনুশীলন বাতিল করা হয়েছে। যাঁরা এসেছেন, তাঁদের বিকেলে জিম করাবেন ট্রেনার।’

অনুশীলন বাতিল করেছে টিম ম্যানেজমেন্ট

ফাইল ছবি: প্রথম আলো

ডাক পাওয়া বাকি খেলোয়াড়দের মধ্যে অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া ডেনমার্কে ও তারিক রায়হান অবস্থান করছেন ফিনল্যান্ডে। বাকি খেলোয়াড়দের মধ্যে থেকে বিশ্বনাথ ঘোষ ও মতিন মিয়া বাফুফেকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, পারিবারিক কারণে তাঁরা ক্যাম্পে যোগ দিতে পারবেন না। অন্যান্য খেলোয়াড় কেন আসছেন না, এ ব্যাপারে বাফুফের কিছু জানা নেই।

বিশ্বস্ত সূত্র বলছে, আমন্ত্রণমূলক এই টুর্নামেন্টের জন্য খেলোয়াড় ছাড়তে ক্লাবগুলোর আপত্তি আছে। কারণ, টানা খেলে যাওয়ায় খেলোয়াড়েরা ক্লান্ত। হিসাব করলে দেখা যায়, গত সেপ্টেম্বর থেকে শুরু করে টানা খেলে যাচ্ছেন জাতীয় দলের ফুটবলাররা।

ঘরোয়া লিগ ও টুর্নামেন্টের বাইরে জাতীয় দল ও এএফসি কাপের ম্যাচ খেলতে হয়েছে জাতীয় দলের বড় একটি অংশের খেলোয়াড়দের। এই তো সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ খেলে ৭ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ফিরেছে জাতীয় দল। তাই ফুটবল সংশ্লিষ্ট অনেকেই মনে করেন, আমন্ত্রণমূলক টুর্নামেন্টে অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দিয়ে অনূর্ধ্ব-২৩ দলটাকে পাঠানো হলে এএফসি এশিয়ান কাপের আগে জাতীয় দলের পাইপ লাইনটা শক্তিশালী হতো।

৮ নভেম্বর প্রথম ম্যাচেই আফ্রিকার দেশ সিশেলসের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ১১ ও ১৪ নভেম্বর পরের দুই ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কা।