ads

Breaking News

হ্যাটট্রিকের সামনে দাঁড়িয়েও মেসির পেনাল্টি না নেওয়ার কারণ
মাইক্রোসফট কি টিকটককে কিনে নিচ্ছে?
Ugh PBR&B kale chips Echo Park.
মাইক্রোসফট কি টিকটককে কিনে নিচ্ছে?.
Authentic bitters seitan pug single-origin coffee whatever.
মাইক্রোসফট কি টিকটককে কিনে নিচ্ছে?
Vice mlkshk crucifix beard chillwave meditation hoodie asymmetrical Helvetica.
Ugh PBR&B kale chips Echo Park.
Gluten-free mumblecore chambray mixtape food truck.
Authentic bitters seitan pug single-origin coffee whatever.

জাপানে ভ্রমণ করতে চাইলে কোন জায়গাগুলোতে অবশ্যই যাওয়া উচিত?

 জাপানের সমস্তটা জুড়েই সৌন্দর্য ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। তবে বিভিন্ন ঋতুতে জাপানের বিভিন্ন জায়গা আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। প্রায় প্রত্যেক শহরেই প্রাচীন মন্দির থেকে শুরু করে আকাশসমান অত্যাধুনিক স্থাপত্য সবকিছুর দেখা পাবেন। প্রকৃতি বলুন বা প্রযুক্তি, ঘুরে ঘুরে দেখতে দেখতে আপনি মুগ্ধ না হয়ে পারবেন না।

আমি আমার পছন্দমত শীর্ষ তিনটি সবচাইতে সুন্দর জায়গার কথা লিখব ঠিক করেছি, জাপানে এসে যে জায়গাগুলোতে না গেলে আমি ধরে নিব আপনার ওপর প্রকৃতির অভিশাপ আছে যেকারণে এই সৌন্দর্যগুলো থেকে আপনি বঞ্চিত হলেন!

১) কিয়োতো (京都市) জাপানের প্রাচীনতম রাজধানী[1]

কিয়োতো সারাবছরই সুন্দর! শুধু 'সুন্দর' শব্দটা আসলে এর জন্য খুব কম হয়ে যায়। এ শহরটার সৌন্দর্য নৈসর্গিক! সময় থাকলে পুরো শহরের মূল আকর্ষণগুলো সর্বনিম্ন হয়ত তিনদিনের মধ্যে ঘুরে দেখতে পারেন। কথা না বাড়িয়ে কিছু ছবির মাধ্যমে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি-

ছবিঃ[2] কিনকাকু-জি (金閣寺) বা রকুওন-জি (鹿苑寺), The Golden Temple নির্মানকাল- ১৩৯৭।

ছবিঃ[3] ফুশিমি ইনারি তাইশা- (伏見稲荷大社)। নির্মানকাল-৭১১।

এটি একটি শিন্তো মন্দির। এই যে সারিবদ্ধ লম্বা খুঁটিগুলো, এগুলোর পাশাপাশি দুইটি উপরে যুক্ত করে গেটের মতন একটা কাঠামো তৈরি করা, এগুলোকে বলে Torii, ফুশিমি ইনারি তাইশাতে এরকম খুঁটির সংখ্যা ১০, ০০০ টি! এই চিপায় দাঁড়িয়ে একটা ছবি না তুলতে পারলে আপনার জাপানদর্শন অসম্পূর্ণ! ইনারি পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত এই মন্দিরের তরিগেটের মাঝ দিয়ে হেঁটে হেঁটেই আপনি এপাহাড়ের চূড়ায় চড়তে পারবেন। অবশ্য উঠতে প্রায় দুইঘন্টা লেগে যাবে! আমার সৌভাগ্য আমার এখানে যাবার সুযোগ হয়েছিল, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২৩৩ মিটার উঁচুতে এর চূড়া। এতটা পথ তারপরও এতটুকু ক্লান্ত লাগেনি।

ছবিঃ [4] আরাশিয়ামা (嵐山), পাহাড়-পার্ক-ব্রীজ—মন্দির-বাঁশবাগান সবমিলে এক অনন্য ভ্রমণ অভিজ্ঞতা পেতে পারেন আপনি এখানে!

কিয়োতো বলতে গেলে পুরাটাই ঐতিহ্যিক নিদর্শনে গিজগিজ করছে। তাই জাপান ভ্রমণে এই জায়গাকে লিস্টের একদম উপরে জায়গা দিবেন।

২) হিরোশিমা (広島市) বিশ্ব ইতিহাসের সবচেয়ে অমানবিক ঘটনার সাক্ষী যে শহর[5]

ছবিঃ [6]পারমাণবিক বোমা গম্বুজ (The Atomic Bomb Dome) নির্মানকালঃ ১৯১৫।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পারমাণবিক বোমার আঘাতে কেঁপে ওঠা হিরোশিমা শহরটা একপ্রকার ফিনিক্স পাখির মতই পুনর্জ্জীবিত হয়ে উঠেছে। শহরের সমস্তটাই বুকজুড়ে যুদ্ধ আর সংঘাতের ক্ষত ধারণ করে আছে। এই ক্ষতের স্মৃতি ধরে রাখতে ওরা তৈরি করেছে- Peace Memorial Park.

ছবিঃ [7] পিস মেমোরিয়াল পার্ক।

ন্যুনতম ইতিহাস জানা ব্যক্তিমাত্রই এই হিরোশিমা শহরটির নাম জানার কথা। বিশেষ করে ওদের স্মৃতি সংরক্ষণাগারগুলো দেখে কেও চোখের পানি না ফেলে পারবেনা।

ছবিঃ [8] হিরোশিমা ক্যাসল।

এখানে আমার এখনো যাবার সুযোগ হয়নি। তবে দর্শনার্থীদের কাছে শুনেছি এই শহর যত বড়ই অমানবিকতার শিকার হোকনা কেন তাদের এ ধরণের নিদর্শনগুলোতে ঘুরেফিরে শুধুই নাকি শান্তির বার্তা ছড়িয়ে রয়েছে।

৩) হোক্কাইদো 北海道 - Coolest place of Japan (literally)! [9]

ছবিঃ [10] সাপ্পোরো টিভি টাওয়ার থেকে Odori-Susukino Street view।

হোক্কাইদো জাপানের সর্ব উত্তরের সীমানা, এদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বীপ। হোক্কাইদোর সীমানা পেরিয়ে আরো উত্তরে গেলেই রাশিয়া। এখানে শীত দীর্ঘতম ঋতু। ডিসেম্বর-জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি এখানে শীতলতম সময়। এসময়ে পুরো জায়গাটাই শুভ্র বরফের আস্তরে ঢাকা থাকে! আমি এখানে থাকি বলে বলছিনা, শীতে হোক্কাইদো পুরো বিশ্বের স্কিইংএক্সপার্টদের আকর্ষণের কেন্দ্র থাকে, Niseko এখানকার সবচেয়ে বড় পর্যটক আকর্ষণ।

ছবিঃ [11] একটি স্কিইং স্পট।

আপনি স্কিইং না পারলেও কুছ-পরোয়া নেই, যার যতদূর মুরোদ আছে সেসবকিছু মাথায় রেখেই এখানে বিভিন্ন ধরণের কার্যকলাপ ঠিক করে নেওয়া যায়। আমি একবার এখানে অন্নুপুরি নামে এক বরফঢাকা পাহাড়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলাম!

সাপ্পোরো এর স্নো ফেস্টিভ্যালও কিন্তু জগদ্বিখ্যাত!

ছবিঃ [12] সাপ্পোরো স্নো ফেস্টিভ্যালে প্রতিবছর নানান আকার ও আকৃতির সব বরফের তৈরি স্থাপত্যের প্রদর্শনী হয়!

বছরের অন্য সময়গুলোতেও এখানে প্রকৃতি সেজে ওঠে একেক রকম সাজে। নিশ্চিত হয়েই বলতে পারি সব রূপেই আপনি মুগ্ধ হবেন!

ছবিঃ [13] Fort Goryokaku (五稜郭), হাকোদাতে, হোক্কাইদো। নির্মানকালঃ ১৮৬৪। বসন্তে গোলাপি চেরি ব্লসমের আবরণে ঢেকে থাকে পুরো এলাকা!

এই লেখাটা অনেক লম্বা করা সম্ভব কিন্তু শুরুতেই বলেছি সেরা তিনটি অবশ্য দ্রষ্টব্য স্থানের উল্লেখ করব। মূলতঃ জাপানের অর্থনীতি অনেকটাই ভর করে আছে এর পর্যটনশিল্পের ওপর, তাই এদের নিজেদের দেশের রূপে মানুষদেরকে আকৃষ্ট করতে এরা সদাসচেষ্ট!

আশা করি এই উত্তরখানায় আগ্রহীদের কৌতুহল কিছু হলেও নিবৃত্ত করতে পেরেছি!

ফুটনোটগুলি

কোন মন্তব্য নেই